ঢাকা: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গ্রাম এখন শহরে পরিণত হয়েছে, শহরের সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে গ্রামে। আওয়ামী লীগ সরকার গ্রামে যেসব রাস্তাঘাট করেছে তার গর্তগুলো ভরাট করার ক্ষমতাও নেই বিএনপির। অথচ ভোট এলে তারা সুন্দর সুন্দর জামাকাপড় পরে বড় বড় কথা বলবে। এসব মৌসুমি ভোট লুটেরাদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অবদানে দেশ ডিজিটাল হয়েছে বলে এখন বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে ভিডিও কলে দেখে দেখে কথা বলা যায়। এখন প্রত্যেক ঘরে ঘরে টেলিভিশন, ফ্রিজ, আবার অনেকের ঘরে এসি। এসব ১৪ বছর আগে ছিল না। আগে মুষ্টিমেয় মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ থাকলেও মাঝেমধ্যে বিদ্যুৎ আসত। আর এখন বিভিন্ন দুর্যোগের কারণে মাঝেমধ্যে বিদ্যুৎ যায়। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ শেখ হাসিনার অবদান এবং বদলে যাওয়া বাংলাদেশের চিত্র।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনীয়া পৌরসভার আয়োজনে সরকারের সামাজিক কর্মসূচির উপকারভোগীদের সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। পৌরসভার মাঠে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকার দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে ২২ প্রকারের ভাতা দিচ্ছে। ভিজিডি, ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে বিনা মূল্যে চাল দেওয়া হচ্ছে, এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে পাঁচ কোটি মানুষকে স্বল্পমূল্যে পণ্য দিচ্ছে, ৫০ লাখ ওএমএস কার্ডের মাধ্যমে, ঈদ এবং পূজায় বিনা পয়সায় চাল দেওয়া হয়। বিনা পয়সায় বছরের প্রথম দিন নতুন বই দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, করোনার সময় বিনা পয়সায় টিকা দেওয়া হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩০ প্রকারের ওষুধ ফ্রি দেওয়া হচ্ছে। আগে ক্ষমতায় জিয়া, খালেদা জিয়া, এরশাদ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারও ছিল। এ ধরনের ভাতা এবং সাহায্যগুলো আগে কখনো ছিল না, নৌকা মার্কার সরকার এসব করেছে। করোনার সময়সহ নানা দুর্যোগে বিএনপি নেতাদের পাওয়া যায় না। আওয়ামী লীগ সরকার এবং আমাদের দলের নেতারা সব সময় মানুষের পাশে থাকে।
নিজ নির্বাচনী এলাকার জনসাধারণের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আগে রাঙ্গুনীয়ার মানুষকে নানা আশ্বাস দিয়ে ঠকানো হতো। রাঙ্গুনীয়া থেকে বরাদ্দ কেটে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হতো। আর এখন আমি অন্য জায়গা থেকে বরাদ্দ কেটে রাঙ্গুনীয়ায় আনি। বর্তমানে উন্নয়নে রাঙ্গুনীয়ার চিত্র পাল্টে গেছে। গত ১৪ বছর আমি আপনাদের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছি। সবার জন্য আমার দরজা উম্মুক্ত রেখেছি। সামনে নির্বাচন, আশা করি আপনারাও আমার জন্য আপনাদের দরজাটি খোলা রাখবেন।
পৌর কাউন্সিলর জালাল উদ্দিন ও জসিম উদ্দিন শাহর যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম তালুকদার, সদস্য ইদ্রিছ আজগর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, উত্তর জেলা কৃষক লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য আকতার হোসেন খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সাংবাদিক জিগারুল ইসলাম জিগার, উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম সম্পাদক জসিম উদ্দিন তালুকদার, সরফভাটা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, রাঙ্গুনীয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগ সভাপতি আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, পৌর কাউন্সিলর তারেকুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।