ঢাকা: ব্যর্থতার দায়ে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের কান ধরে উঠবস করে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক যুবলীগের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি উচ্চ পর্যায়ের নেতারা সরকার পতনের ডাক দিয়ে তাদের নেতাকর্মীদের বারবার বিভ্রান্ত করছে। কিন্তু সরকার পতন এত সহজ না, কারণ এই সরকার জনগণের সরকার। মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতারা যদি সরকার পতন করতে না পারে, তাহলে পল্টন কার্যালয় এর সামনে বিএনপির নেতাদের কান ধরে উঠবস করে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
বুধবার বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর ফার্মগেট এই সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী যুবলীগ।
বিএনপি দেশের ভোট ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে দাবি করে যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান নানক বলেন, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালীন এদেশে ভোট চুরি করেছে, এখন তারাই আমাদেরকে ভোট ব্যবস্থা সংস্কার করতে বলে। এটা লজ্জার বিষয়। লজ্জায় তাদের মাথা নত করে থাকা উচিত। আসলে তাদের লজ্জায় নেই।
বিএনপিকে প্রতিহত করতে যুব সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, যে পরাজিত শক্তি মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছিল তারাই ১৫ই আগস্ট ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা আবারও নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে, কিন্তু তাদেরকে আর সুযোগ দেওয়া হবে না। যুব সমাজকে নিয়ে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধভাবে এই সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, বিএনপি কর্মসূচি পালন করে সরকার হটানোর জন্য। তারা ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়েও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর অনেক অত্যাচার করেছে। তারা আবারো যদি রাস্তায় নামতে চায় প্রতিহত করা হবে।
সমাবেশের নেতাকর্মীর উদ্দেশ্যে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, অপরাধের দায়ে বিএনপি জামায়াতকে মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। যুবলীগ তাদেরকে অনেক ছাড় দিয়েছে, সামনে ছাড় দেওয়া হবে না। আরেকবার মানুষের গায়ে হাত দিলে যুবলীগ সমুচিত জবাব দিবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সমাবেশ পরিচালনা করেন। এ সময় ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য তাজউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ নাঈম, রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু মনির মো. শহিদুল হক রাসেল, মহানগর উত্তর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন সেলিম, দপ্তর সম্পাদক এ এইচ এম কামরুজ্জামান কামরুলসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা যুবলীগের নেতাকর্মীরা।