বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভারতীয় ভিসা প্রক্রিয়া কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভিসা জটিলতা আমরা তৈরি করিনি। ভিসা একটি সার্বভৌম অধিকার। কোনও দেশ যদি কাউকে বা কোনও গোষ্ঠীকে ভিসা না দেয়– তবে এ নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলা যাবে না।
ভারত ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিবিসিতে দেওয়া বক্তব্যকে সমর্থন দেন তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা যে কথা বলেছেন এটা কিন্তু একেবারে আমাদের অবস্থান।
বাংলাদেশ থেকে ক্যান্সার, হৃদরোগ, কিডনি রোগ, প্রজনন স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা নিতে ভারতে যান অনেক বাংলাদেশি নাগরিক। প্রতিবছর কত লোক ভারতে চিকিৎসা নিতে যায় সেটির সঠিক পরিসংখ্যান বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাওয়া যায়নি।
২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত ১৫ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশিদের জন্য ৮ লাখ ভিসা ইস্যু করা হয়েছিল, যার মধ্যে মেডিক্যাল ভিসা ছিল ২ লাখ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে সরকার পতন পরবর্তী প্রেক্ষাপটে মেডিক্যাল বা জরুরি ভিসা বাদে অন্য কোনো ভিসা দিচ্ছে না ভারত সরকার। মেডিক্যাল ভিসাও দেওয়া হচ্ছে সীমিত আকারে।
