জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন উদ্বোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে তাকে প্রধান অতিথি হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে সম্বোধন করায় ‘কষ্ট পেয়েছেন’ প্রধান উপদেষ্টা। নিজের বক্তব্যের সেই কষ্টের কথা প্রকাশ করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেছেন, ‘প্রধান অতিথি হিসেবে বলায় কষ্ট পেয়েছি। যেন আমাকে খেলার মাঠ থেকে বাইরে রাখা হলো।’
আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘আমাকে প্রধান অতিথি হিসেবে বলাতে আমি একটু কষ্ট পেলাম।
উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, বাংলাদেশে যা কিছু করণীয়, সেই করণীয়ের দায়িত্বে আমরা সবাই আছি, এমনভাবে যেমন চিন্তা করুন আমরা একটা খেলার—ক্রিকেট বা ফুটবল খেলার খেলোয়াড়। আমাদের আজকে এ খেলোয়াড়দের সমাবেশ। প্রস্তুতি নেওয়া, যে আমাদের স্ট্র্যাটেজি কী হবে, অবজেকটিভ কী হবে, আমাদের কার কী করণীয়—এসব ঠিক করা।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসকদের সজাগ থাকার নির্দেশ দেন।
একই সঙ্গে তিনি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারদর নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
পাসপোর্ট করতে পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, টাকা দিলেই জন্মসনদ মিলবে- এটা হতে পারে না। সব সেবা অনলাইনে দিতে হবে। পাসপোর্ট করতে পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে না।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তত্ত্বাবধানে প্রতিবছর সরকারের নীতিনির্ধারক ও জেলা প্রশাসকদের মধ্যে সরাসরি মতবিনিময় ও প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দিতে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এর অংশ হিসেবে এবারের সম্মেলনে উপদেষ্টা-সচিবদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সম্পর্কে ডিসিদের দেওয়া প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসকরা সরকারের মাঠ পর্যায়ের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে থাকেন। ফলে সরকারের নীতিনির্ধারণী বিষয় ছাড়াও উন্নয়ন কর্মসূচিসহ অন্যান্য বিষয় মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকরা সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করে থাকেন।