উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে জানুয়ারির প্রথমার্ধে লন্ডনে যাবেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড েএম জাহিদ হোসেন এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শক্রমে ইনশাল্লাহ জানুয়ারির প্রথমার্ধে বিএনপি চেয়ারপারসনকে ইউকে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে। যদিও তারিখ এখন পর্যন্ত নির্ধারিত হয়নি।
অধ্যাপক জাহিদ জানান, মেডিক্যালের আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসংবলিত একটি বিমানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী লন্ডন যাবেন। তার সাথে চিকিৎসকের একটি টিম, পরিবারের কয়েকজন সদস্য এবং চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তারাও যাবেন।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, খালেদা জিয়া প্রথমে লন্ডনে যাবেন তার ছেলে তারেক রহমানের কাছে।
চিকিৎসকদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ডে পূর্ব বাল্ডিমোরে বিশ্বখ্যাত জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় হসপিটালে বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসাও নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
এর আগে ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে এই হাসপাতালের তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রফেসর ক্রিসটোস স্যাভাস জর্জিয়াডস, প্রফেসর জেমস পিটার অ্যাডাম হ্যামিলটন ও প্রফেসর আবদুল হামিদ আহমেদ আব্দুর রব ঢাকা এসে এভারকেয়ার হাসপাতালে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দেন।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস ছাড়াও দীর্ঘদিন বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। হৃদরোগ, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের নানা জটিলতা রয়েছে তার। ২০০২ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।