তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘একটি অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশে দায়িত্ব নিয়েছে। এটা একটি অভিনব ঘটনা, যা এর আগে কখনো ঘটেনি। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে এ রকম হয়েছে কি না, আমার জানা নেই। আমরা এ রকম পরিস্থিতিতে কাজ করার চেষ্টা করছি।
গতকাল মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে ব্রিটিশ গ্লোবাল পার্টনার্স গভর্ন্যান্স (জিপিজি) প্রতিনিধিদল উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন।
স্কটিশ পার্লামেন্টের সাবেক সদস্য লর্ড জেরিমাই পুরভিস অন্তর্বর্তী সরকারের চ্যালেঞ্জ কী কী জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘মূলত আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক সমস্যা, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া এবং বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ স্থাপন করাই অন্তর্বর্তী সরকারের মূল চ্যালেঞ্জ।’
চিলির সাবেক সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রী জর্জিও জ্যাকসন সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে জানতে চাইলে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পর নতুন রাজনৈতিক দল গঠিত হবে জনগণের মধ্যে এ রকম প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে এবং এই দল যদি সফল হয় তবে বর্তমান রাজনৈতিক দলগুলো একটি চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়ে যাবে। রাজনৈতিক দলগুলো চাচ্ছে সংস্কার তাদের অধীনেই হোক তাই তারা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করার চেষ্টা করছে।
ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসার মাট চার্টার কোন কোন বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার তাদের সাহায্য চায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অভ্যুত্থান-পরবর্তী গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং গণহত্যার বিচার বিষয়ে আপনাদের অভিজ্ঞতা এবং পরামর্শ আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে নানা রকম অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। গণ-অভ্যুত্থানকে অনেকেই ঠিকমত ব্যাখ্যা করতে পারছে না।
নাহিদ আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের দীর্ঘদিন ধরে মানবাধিকার সংকট চলতেছে, মানুষ ভোট দিতে পারত না, কয়েক হাজার মানুষকে গুম করে ফেলা হয়েছে।
জিপিজি প্রতিনিধিদল অন্তর্বর্তী সরকারকে সব রকম সহায়তার আশ্বাস প্রদান করে।