চলতি বছর জানুয়ারি থেকে অক্টোবরের মধ্যে ইতালি যাওয়া অভিবাসীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক গিয়েছে বাংলাদেশ থেকে। এই সময় সমুদ্রপথে ইতালি গিয়েছে ৪৯ হাজার ৬৯১ জন অভিবাসী। এদের মধ্যে ১২ হাজার ৭০২ জনই বাংলাদেশি, যা মোট আগমনের ২০ শতাংশ।
মোট আগমনের ১৮ শতাংশ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে সিরিয়া।
বেড়েছে সিরীয় অভিবাসী
এ বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবরের মধ্যে ১০ হাজারেরও বেশি সিরীয় ইতালি পৌঁছেছে। তখনো নতুন করে দেশটিতে সংঘাত শুরু হয়নি। ২০১৩ ও ২০১৪ সালের পর এই প্রথম এত বেশিসংখ্যক সিরীয় সমুদ্রপথে ইতালিতে গিয়েছে।
নভেম্বরে আগমন বেড়েছে ৪২ শতাংশ
নভেম্বরে সমুদ্রপথে আট হাজার ১০০ জন অভিবাসী ইতালি পৌঁছেছে। অক্টোবরের চেয়ে এ সংখ্যা বেড়েছে ৪২ শতাংশ। ওই মাসে সমুদ্রপথে ইতালি পৌঁছেছে পাঁচ হাজার ৭২২ জন।
এদিকে চলতি বছর ইতালিতে অভিবাসী আগমন ২০২৩ সালের চেয়ে তুলনামূলক অনেক কমেছে। এ বছরের মাসের হিসাবেও দেখা গেছে, আগমনের তারতম্য রয়েছে। ২০২৪ সালে জানুয়ারিতে দেশটিতে গিয়েছে দুই হাজার ২৫৮, ফেব্রুয়ারিতে দুই হাজার ৩০১, মার্চে ছয় হাজার ৮৫৭, এপ্রিলে চার হাজার ৭২১, মে মাসে চার হাজার ৯৭৬, জুনে চার হাজার ৯০২, জুলাইয়ে সাত হাজার ৪৬৫, আগস্টে আট হাজার ৫২৬ জন অভিবাসী।
লিবিয়ার উপকূল থেকেই বেশির ভাগের যাত্রা
নভেম্বরে ইতালিতে যাওয়া অভিবাসীরা রওনা হয়েছে লিবিয়া, তিউনিশিয়া, তুরস্ক ও আলজেরিয়ার উপকূল থেকে।
এ ছাড়া নভেম্বরে যাওয়া অভিবাসীদের অন্তত ৭৫ শতাংশ ইতালির দক্ষিণের ছোট দ্বীপ লাম্পেদুসায় গিয়ে পৌঁছেছে। সমুদ্রপথে যাওয়া বাকি ২৫ শতাংশ অভিবাসী পৌঁছেছে ইতালির পোৎজালো, ত্রাপানি, জেনওয়া, রোকেলা আইওনিকা, রেজিও ক্যালাব্রিয়া, ক্রোটন, আওগুস্তা, কাতানিয়া, নেপলস, সিরাকুজে, ভিবো ভ্যালেন্তিয়া, লিভর্নো, লাম্পিওনি, পোর্তো পিনো, অর্তোনা, আনকোনা, পালেরমো, ব্রিন্দসি, সালেরনো, কাপো তেওলাদা, সিভিটাভেসিয়া ও পুলায়।
ইউএনএইচসিআরের কার্যক্রম
অভিবাসীদের আগমন পয়েন্টে ইউএনএইচসিআর সক্রিয়ভাবে উপস্থিত রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ইতালির কর্তৃপক্ষ, জাতীয় ও ইউরোপীয় সংস্থা এবং অন্য অংশীদারদের পাশাপাশি জাতিসংঘের এই সংস্থাটিও সেখানে সহযোগিতা দিয়ে আসছে।
সহযোগিতার মধ্যে রয়েছে, নতুন করে আসা অভিবাসীদের তথ্য সংগ্রহ করা, বিশেষায়িত পরিষেবার মাধ্যমে অপ্রাপ্তবয়স্ক ও দুর্বল ব্যক্তিদের শনাক্ত করে যত্ন-আত্তি নিশ্চিত করা।
সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন ও সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অনুরোধ জানিয়ে আসছে ইউএনএইচসিআর। বিশেষ করে, সমুদ্রে অনুসন্ধান ও উদ্ধার প্রক্রিয়া জোরদারের পাশাপাশি নিয়মিত অভিবাসনের পথ সহজ করতেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।