রোহিঙ্গা শরণার্থী ও হোস্ট কমিউনিটির নারী ও যুবকদের ক্ষমতায়নে স্থিতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বিনির্মাণে  ইউএনএফপিএ এবং সুইজারল্যান্ড সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। ‘রাইজিং টুগেদার’ শিরোনামে সুইজারল্যান্ডের সাথে অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষরকালে ইউএনএফপিএ বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিটিভ মাসাকি ওয়াতাবে এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, নারী ও যুবকদের ক্ষমতায়ন শুধুমাত্র নৈতিকভাবে বাধ্যতামূলকই নয় বরং এটি তাদের মর্যাদা এবং সুন্দর ভবিষ্যত বিনির্মাণের প্রতি এক ধরনের প্রতিশ্রুতিও। রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং হোস্ট সম্প্রদায় উভয়ই এই দীর্ঘ সুরক্ষা সংকট মোকাবেলা করছে, তাই এর গুরুত্ব অপরিসীম।

 
 

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের কক্সবাজার ও ভাসানচরের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির এবং হোস্ট কমিউনিটির কিশোর-কিশোরী, তরুণ এবং নারীদের সহায়তার জন্য সুইজারল্যান্ড ও ইউএনএফপিএ এর মধ্যে ২.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। নারী ও তরুণদের উন্নয়ন, উদ্ভাবন এবং নেতৃত্ব বিকাশের মাধ্যমে স্থিতিস্থাপক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়াই হল ‘রাইজিং টুগেদার’ উদ্যোগটির মুখ্য উদ্দেশ্য। প্রোগ্রামটি জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও প্রতিক্রিয়া, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সেবার বিস্তার, ইতিবাচক যুব উন্নয়ন ও নেতৃত্ব, এবং মানসিক স্বাস্থ্য ও মনোসামাজিক সহায়তা  প্রদান করার ওপর অত্যধিক গুরুত্ব আরোপ করে পরিচালিত হবে।

 
 

এ বিষয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের দূতাবাসের অস্থায়ী চার্জ দ্য আফেয়ারস করিন হেনচোজ পিগনি বলেন, এই অংশীদারিত্ব নারীদের এবং মেয়েদের অধিকার উন্নয়নে সুইজারল্যান্ডের প্রতিশ্রুতিকে আরো শক্তিশালী করেছে। জীবন দক্ষতা প্রশিক্ষণ, শিক্ষামূলক সেশন এবং সমন্বিত যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করার মাধ্যমে, এই উদ্যোগ নারী এবং কিশোরীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়তে সক্ষম করবে।