বর্তমান পরিস্থিতিতে পুলিশের মনোবল ফেরানোই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বিগত সরকারের পতনকে ঘিরে সংঘর্ষ-সহিংসতায় পুলিশের মনোবল ভেঙে পড়ে। এর আগে এ ধরনের ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পুলিশ বাহিনী কখনো পড়েনি। সেই পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে সবাইকে স্বাভাবিক হতে বলব।
পুলিশ যাতে জনগণের কাছে যায়, জনগণের সমস্যা বা অভিযোগ শোনে, সে অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়—এ বিষয়ে গুরুত্ব দেব আমি। আরেকটি বিষয়ে গুরুত্ব দেব, কোনো নিরপরাধ মানুষ যেন হয়রানিতে না পড়ে। সে দিকে বিশেষ দৃষ্টি থাকবে।
পুলিশ সব সময় জনগণের বন্ধু। সমাজটাকে ভালো রাখতে পুলিশের বিকল্প নেই। তাই সবাইকে দোষারোপ করে অপরাধীর কাতারে নেওয়া ঠিক নয়।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করব। যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশকে ধৈর্যের সঙ্গে কাজ করতে বলব।
আগামী নির্বাচনের আগে পুলিশকে ঢেলে সাজানো হবে। জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে আনা হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কেউ যাতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে না পারে, সেদিকে বিশেষ নজর থাকবে।
অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের তৎপরতা আরো বাড়ানো হবে। অপরাধীদের গ্রেপ্তারে বিশেষ অভিযান বাড়ানো হবে। বিগত সরকারের পতনকে ঘিরে সংঘর্ষ ও সহিংসতায় অনেক পুলিশ সদস্য হতাহত হয়েছে। প্রাণ ভয়ে অনেকে আত্মগোপনে চলে যায়। পুলিশের অনেক অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। অস্ত্র লুট হয়েছে। বিপুলসংখ্যক যানবাহন পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আমি দায়িত্ব নিয়েছি। তাই আপ্রাণ চেষ্টা করব পুলিশের মনোবল ফিরিয়ে কাজে ফেরানোর। লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধারে মাঠ পর্যায়ের পুলিশের কার্যক্রম জোরদার করা হবে।
আমি চাইব, বর্তমান পুলিশ প্রশাসন নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে। কেউ অসৎ পথ বেছে নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর মধ্যে থানা পুলিশের পাশাপাশি অন্য সংস্থাগুলোও এ ব্যাপারে তৎপরতা শুরু করেছে। অপরাধ দমনে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চলছে। তবে নিরীহ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয়, এ ব্যাপারেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমাদের ওপর আস্থা রাখুন। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ পেশাদারি দিয়ে দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় চেষ্টা করে যাব।
এ ধরনের ঘটনা ন্যক্কারজনক এবং বড় ধরনের অপরাধ। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়াও অপরাধ। এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে থাকবে পুলিশ।