সংস্কারের বিষয়ে আগামী শনিবার আবারও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসবেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর হেয়ার রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ কথা জানান।
তিনি বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে অন্তর্বতী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছে। গত সপ্তাহে একটি সংলাপ হয়েছিল।
তিনি জানান, সংলাপের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে গণফোরাম, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, বিজেপি, ১২ দলীয় জোট, এলডিপি, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল ও লেবার পার্টিকে। আরো দুই-একটি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে।
জাতীয় পার্টিকে সংলাপে ডাকা হবে কি না, এমন প্রশ্নে আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এর আগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও জামায়াত ইসলামীসহ কয়েকটি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এসব জাতীয় পার্টিকে না ডাকায় বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক সমন্বয়ক প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে জাতীয় পার্টিকে ডাকলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটে গত ৫ আগস্ট। তারপর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার সরকার এরইমধ্যে দুই দফা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেছে। তবে আগের দুই দফা ও আগামীতেও 'ফ্যাসিবাদী শাসন' ও 'গণহত্যায়' অভি্যুক্ত আওয়ামী লীগকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি এবং হবে না বলে আগেই সরকার জানিয়েছে।
এদিকে জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে সম্প্রতি ওঠা অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ ভ্রান্ত বলে দাবি করেছেন দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
গত রবিবার তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা করতে না ডাকা আমাদের জন্য বিব্রতকর। আমাদের দলের একটি ঐতিহ্য আছে, এটি একটি পুরোনো দল এবং দেশের উন্নয়নের সঙ্গে আমাদের সংযোগ রয়েছে, রাষ্ট্র পরিচালনার অভিজ্ঞতাও আছে। তবুও রাষ্ট্র সংস্কারের আলোচনায় আমাদের না ডাকায় আপত্তি নেই। তবে আমাদের বিরুদ্ধে বাইরে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।