শিক্ষার্থীদের ওপর আনসার বাহিনীর সদস্যদের হামলা ও মারধরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (ইউট্যাব)। একই সঙ্গে হামলায় জড়িত আনসার বাহিনীর সদস্যদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এবং আহত শিক্ষার্থী-সাংবাদিকদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থার দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।

সোমবার (২৬ আগস্ট) এক বিবৃতিতে ইউট্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।

নেতারা বলেন, ‘নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার একটি অস্থির সময়ে দেশের হাল ধরেছে।

কেননা গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের দুর্নীতিবাজ নেতাকর্মীরাও আত্মগোপনে আছেন। যারা গত ১৬ বছর ধরে দেশের মানুষের ওপর নানা জুলুম-অত্যাচার করেছেন। স্বৈরাচারের পতন হলেও প্রশাসনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্বৈরাচারের দোসর ও প্রেতাত্মা এখনো রয়ে গেছে।
তারা সব জায়গায় ঘাপটি মেরে আছে। এসব চক্রান্তকারী ও স্বৈরাচারের দোসররা মনে করে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে দেশে প্রতিবিপ্লব ঘটাবে! রবিবার রাতে আনসার বাহিনীর কর্মকাণ্ডে তেমনটিই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। গোটা দেশের মানুষ যেখানে বন্যার্তদের সহায়তা ব্যস্ত সেখানে আনসার বাহিনী কী করে দেশের প্রধান সরকারি দপ্তর সচিবালয় অবরুদ্ধ করে রাখে?’

 

ইউট্যাবের নেতারা বলেন, ‘আনসার বাহিনীর কোনো দাবিদাওয়া থাকলে তা আলোচনা সাপেক্ষ বিষয়। কিন্তু তাদের দাবি মেনে নেওয়ার পরও কাউকে অবরুদ্ধ করে রাখার দুঃসাহস দেখাল কিভাবে? আসলে বর্তমান যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রয়েছে তাকে অস্থির করার জন্য এসব পরিকল্পিতভাবে করা হচ্ছে।

পুলিশ, প্রশাসনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসররা এখনো রয়ে গেছে। যারা ইন্ধন দিয়ে দেশকে আবারও অস্থিতিশীল ও অরাজকতা তৈরি করতে চায়। কিন্তু আমরা মনে করি ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে স্বৈরাচারের দোসররা তাসের ঘরে মতো উড়ে যাবে। তাদের কোনো ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না।’

 

তারা আরো বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত হবে যারা স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে রক্ষা করার জন্য কাজ করেছে তাদের অবিলম্বে সরিয়ে দক্ষদের পদায়ন করা।

তা না হলে গতকালও আনসাররা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর বুট দিয়ে লাথি মেরে শরীর থেঁতলে দিয়েছে তা ভালো কিছু নয়। আমরা অবিলম্বে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’