দ্রুত নির্বাচন না দিলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। অন্তর্বর্তী সরকার ‘উচ্ছৃঙ্খল জনতার শাসনকে’ সুযোগ দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বিএনপির সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সজীব ওয়াজেদ জয় এসব কথা বলেছেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ‘সম্পূর্ণ ক্ষমতাহীন’ মন্তব্য করে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে উচ্ছৃঙ্খল জনতার শাসন (মব রুল) চলছে। এই জনতা যদি কাল বলে—না, আমরা অমুক ব্যক্তিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে চাই না, তাহলে তাঁদেরও পরিবর্তন করতে হবে।’
সজীব ওয়াজেদ আন্দোলনকারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর, পুলিশপ্রধানসহ শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে ইঙ্গিত করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তিনি চান কয়েক মাসের মধ্যেই নির্বাচন হোক। তবে জয় বলেন, নির্বাচন বিলম্বিত হলে তা ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় হবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন দেওয়াটাই তাদের (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) জন্য বেশি মঙ্গলজনক হবে। এর মাধ্যমে জনগণের কাছে বৈধতা আছে, এমন একটি বৈধ সরকার ও প্রকৃত কর্তৃপক্ষের হাতে ক্ষমতা ফিরে আসবে।
বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আওয়ামী লীগ দল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমাদের লাখ লাখ সমর্থক রয়েছে।...আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন না। এটা কখনোই দেশের অন্তত অর্ধেক মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।’ তিনি আরো বলেন, ‘এটা (নির্বাচনী লড়াই) হবে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন ও সংঘাত উসকে দেওয়ার পেছনে বিদেশি শক্তি কাজ করেছে বলেও মনে করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তবে এই দাবির সপক্ষে তিনি কোনো প্রমাণ দেননি।