পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে সুনামগঞ্জে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সুনামগঞ্জ পয়েন্টে সুরমার পানি বিপৎসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার ও ছাতকে ১৩৬ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ৬৮ মিলিমিটার।

উজানের রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি প্লাবিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি এখন জেলা শহরসহ নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়িও প্লাবিত হয়েছে।

বড় বন্যার আশঙ্কা করছেন লোকনজন। তবে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বন্যা প্রস্তুতি মোকাবেলায় ত্রাণ ও আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত আছে। ইতোমধ্যে সুনামগঞ্জ শহরের সরকারি কলেজ আশ্রয় কেন্দ্রে বন্যার্ত অন্তত ২০টি পরিবার ওঠেছে। এই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পাউবো মাঝারি বন্যা আখ্যায়িত করে জানিয়েছে, পানি আরো ১ থেকে দেড় ফিট বাড়তে পারে।

 

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান, সুনামগঞ্জ পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি আজ সকালে ৮.২৮ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে, যা বিপৎসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার উপরে। ছাতক পয়েন্টে ১০.০৫ মিটার উচ্চতায় উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে, যা বিপৎসীমার ১৩৬ সেন্টিমিটার উপরে। 

এদিকে পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণ অব্যাহত থাকায় নতুন করে সুনামগঞ্জ জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। শহরের মল্লিকপুর, বড়পাড়া, তেঘরিয়া, নতুনপাড়া, নবীনগর, ষোলঘর, কাজির পয়েন্ট, আরপিনগরসহ বিভিন্ন এলাকার নিচু রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে।

সুনামগঞ্জ শহরের বক্ষব্যাধি ক্লিনিক, মল্লিকপুর খাদ্যগুদাম, সার গোদাম, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, গণপূর্ত বিভাগের ক্যাম্পাস প্লাবিত হয়েছে। সামান্য পানি বাড়লেই সরকারি এসব অফিসে পানি ডুকে পড়বে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। নিচু এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় জেলা প্রশাসকের বাংলাতেও পানি ডুকে পড়েছে।

 

ঈাহাড়ি ঢলে তাহিরপুর সুনামগঞ্জ সড়কের শক্তিয়ার খলা, জামালগঞ্জ সুনামগঞ্জ সড়কের বিভিন্ন এলাকা, জানিগাও জয়নগর সড়কের বিভিন্ন এলাকা ডুবে গেছে। এ ছাড়া অন্যান্য এলাকার গ্রামীণ রাস্তাঘাটও তলিয়ে গেছে।

 

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, আশ্রয় কেন্দ্র, জিআরের চাল, শুকনো খাবার ও নগদ টাকা মজুদ আছে, যা দিয়ে প্রাথমিক অবস্থা মোকাবেলা করা যাবে। পাশাপাশি মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি জানানো হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের সব প্রস্তুতি আছে।