ঢাকা: আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, উপাত্ত সুরক্ষা আইন উপাত্ত নিয়ন্ত্রণের জন্য করা হচ্ছে না বরং উপাত্ত সুরক্ষার জন্য করা হচ্ছে। আজ রোববার রাজধানীর রেডিসন হোটেলে উপাত্ত সুরক্ষা আইনের খসড়া প্রণয়নের বিষয়ে আয়োজিত পরামর্শ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এ সভার আয়োজন করে।

আইনমন্ত্রী বলেন, উপাত্ত সুরক্ষা আইন যাতে সর্বজনীন হয় এবং বাংলাদেশের জনগণ যাতে এই আইনের মাধ্যমে পরিবর্তিত পৃথিবীকে সঠিকভাবে মোকাবিলা করতে পারে, তার উপযোগী করে তোলার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ সভা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এই আইন নিয়ে জুলাই-আগস্ট মাসে আরও ২-৩টি পরামর্শ সভা করা হবে এবং এসব পরামর্শ সভার মাধ্যমে উঠে আসা যুক্তিসঙ্গত সুপারিশগুলো গ্রহণ করে সকলের জন্য মঙ্গলজনক এবং সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য আইন করা হবে। 

এই আইনের দ্বারা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের সময় বঙ্গবন্ধু মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ব্যাপারে যে সুরক্ষা ও নিশ্চিয়তা দিয়ে গেছেন, সেখানে হাত দেয়ার ক্ষমতা কারও নেই। বর্তমান সরকার যেহেতু আইনের শাসনে বিশ্বাস করে এবং জাতির পিতার নীতি অনুসরণ করে, সে জন্য আমরা সেখানে হাতই দেবো না, বলেন তিনি।

এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপাত্ত সুরক্ষা আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের, প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের এবং রাষ্ট্রের তথ্যের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইসিটি বিভাগের সিনিয়র লেজিসলেটিভ এক্সপার্ট এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. শহিদুল হক, আইসিটি এক্সপার্ট তারিক এ বরকতুল্লাহ বক্তৃতা করেন।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সভায় মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন। সভায় মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বিভিন্ন অংশীজন আইনটির বিভিন্ন ধারা ও উপধারার বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন।