ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডারসেক্রেটারি আজরা জেয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি ও তার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল।
সাক্ষাতের পর ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা মানবিক সহায়তা থেকে শুরু করে লিঙ্গ সমতাকার্যক্রম সমন্বয় করাসহ যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যকার শক্তিশালী ও ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, সুশীল সমাজ ও সংবাদমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা, মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা, শ্রম অধিকার ও সমাবেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখার ব্যাপারে তারা আলোচনা করেন।
এছাড়াও আন্ডারসেক্রেটারি ও প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উদারতা এবং তাদের প্রয়োজন মেটাতে বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের সহায়তা অব্যাহত রাখার বিষয়ে আলোচনা করেন বলেও জানানো হয়। মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা এবং তাদেরকে আশ্রয়দানকারী বাংলাদেশ ও এই অঞ্চলের স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে ২০১৭ সাল থেকে ২১ হাজার কোটি টাকারও বেশি (২.১ বিলিয়ন ডলার) মানবিক সহায়তা দিতে পেরে গর্বিত।
এ ছাড়াও আন্ডার সেক্রেটারি বার্মায় আভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা ও তাদের আশ্রয়দানকারী স্থানীয় জনগোষ্ঠীদের জন্য প্রায় ৬১০ কোটি টাকার সহায়তাসহ বার্মা ও বাংলাদেশে চলমান কার্যক্রমগুলোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেওয়া অতিরিক্ত ৭৪০ কোটি টাকারও বেশি (৭৪ মিলিয়ন ডলার) মানবিক সহায়তা প্রদানের বিষয়টি তুলে ধরেন।
মার্কিন দূতাবাস আরো জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের জন্য জীবিকার সুযোগ সম্প্রসারণের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের বৃহত্তর পরিসরে সহায়তা করতে বর্তমান ও সম্ভাব্য দাতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
আন্ডার সেক্রেটারি ১১ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত এক প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।