মোনায়েম সরকার:
করোনা মহামারীর মরণ কামড় ভুলতে না ভুলতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটচালে ইউক্রেনের সঙ্গে অনাকাংখিত যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী রাষ্ট্র রাশিয়া। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের খবরের মধ্যেই দক্ষিণ এশিয়ার দেশ শ্রীলঙ্কা দেউলিয়া ঘোষিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের অনুন্নত ও দরিদ্র দেশগুলো আতঙ্কিত হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশেও শ্রীলঙ্কার ঘটনা ঘটতে পারে বলে বাংলাদেশ-বিদ্বেষী মহল অপপ্রচার শুরু করেছে। এসব অপপ্রচারে কান দিয়ে দেশের অনেক মানুষই বিভ্রান্ত হচ্ছেন। মানুষের এই অকারণ বিভ্রান্তি দূর করার জন্য হাসিনা সরকারের পক্ষ থেকে নানা তৎপরতা লক্ষ করা গেলেও নিন্দুকের মুখ কিছুতেই বন্ধ করা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের করণীয় কী সেই বিষয়েই আজ দুই-একটি কথা বলতে চাই। শ্রীলঙ্কার অবস্থা দেখে যারা হতাশ হয়ে পড়েছেন আশা করি এ লেখাটা পড়ে তারা কিছুটা হলেও আশার আলো দেখতে পাবেন, কিছুটা হলেও মনোবল চাঙ্গা হবে।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। সাড়ে তিন বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনের কাজে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। তার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ একদিন সম্পদে শান্তিতে বিশ্বের একটি উন্নত দেশে পরিণত হবে। সেভাবেই তিনি নানামুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। কিন্তু ঘাতকের দল তাঁকে সেই সুযোগ দেয়নি। তারা ষড়যন্ত্র করে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এরপর এদেশের ক্ষমতায় আসে বাংলাদেশবিরোধী গোষ্ঠী। এরা বন্দুকের নল ও বাংলাদেশের কতিপয় শত্রুরাষ্ট্রের সহায়তায় ক্ষমতায় এসে পাকিস্তানি মৌলবাদী ভাবধারায় বাংলাদেশ পরিচালনা করে। ফলে সীমাহীন দুর্নীতি, মৌলবাদ, হত্যা, গুম, ইত্যাকার বিষয় মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। দীর্ঘ একুশ বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী এই দুঃশাসকের দল শাসনের নামে বাংলাদেশকে শোষণ করতে থাকে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ঘুরে দাঁড়াবার চেষ্টা করে বাংলাদেশ।
২০০১ সালে আবার দেশদ্রোহী মৌলবাদী চক্রের কূটকৌশলের কাছে হেরে যায় আওয়ামী। বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন তৎকালীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় থেকে এদেশে একের পর এক বোমা হামলা চালিয়ে বাংলাদেশের জনজীবন ও সাংস্কৃতিক কর্মকা- স্থবির করে দেয়। বাংলা ভাইয়ের মতো কুখ্যাত সন্ত্রাসী সৃষ্টি করে একের পর এক জনপদে নির্বিচারে হত্যাকা- চালানো হয়। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় শক্তিশালী গ্রেনেড হামলা করে ২৪ জন নেতাকর্মী হত্যাসহ দুইশতাধিক নিরীহ মানুষ আহত করা হয়। বঙ্গবন্ধু কন্যাও সেদিন মৃত্যুর হাত থেকে অল্পের জন্য বেঁচে যান। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের মানুষ হাঁসফাঁস করছিল বিএনপির নাগপাশ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য। কিন্তু একটি বিষয় এদেশের মানুষ নিশ্চয়ই লক্ষ্য করে থাকবেন বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে কখনোই স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে তারা ১৯৯৬ সালে এক হাস্যকর নির্বাচন আয়োজন করে তিন মাসের জন্য জোর করে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। তারপরে গণআন্দোলন করে বিএনপিকে ক্ষমতাচ্যুত করে এদেশের মানুষ। জিয়াপুত্র তারেক-কোকোর হাওয়া ও খোয়াব ভবন সীমাহীন দুর্নীতির প্রতীক হয়ে আছে।
২০০১ সালের নির্বাচনের পরও তারা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য নীলনকশা আঁটে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাদের সেই নীলনকশা বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশভাবে জয়ী হয়ে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার দৃঢ় প্রচেষ্টা গ্রহণ করে। ২০০৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু-কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা শত শত বাধা ও মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে যেভাবে বাংলাদেশকে পরিচালনা করছেন তা শুধু এশিয়ার বুকেই নয়, গোটা পৃথিবীতেই অনন্য নজির স্থাপন করেছে। আজ বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের অধিক জনসংখ্যার চাপ থাকা সত্ত্বেও মানবিক কারণে ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে বিশ্ববাসীকে অবাক করে দেন এবং ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ খেতাব অর্জন করেন।
বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিকভাবে কোন অবস্থানে আছে তা বোঝানোর জন্য পদ্মা সেতু, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কিংবা মেট্টোরেলের মতো বৃহৎ বৃহৎ প্রকল্পগুলো নয়, জিডিপির দিকে তাকালেই বোঝা যাবে সত্যিই বাংলাদেশ কিভাবে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। একমাত্র আওয়ামী লীগের আমলেই বাংলাদেশের জিডিপি ৭ শতাংশ অতিক্রম করে। বাংলাদেশে বহু দল ক্ষমতায় এসেছে কিন্তু কোনো দলই আওয়ামী লীগের মতো অর্থনৈতিক সাফল্য দেখাতে পারেনি। করোনা মহামারীর কারণে সারা দুনিয়া যেখানে সমস্যাগ্রস্ত সেই পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশ অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে তার অর্থনৈতিক কর্মকা- সচল রেখেছে এবং প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। সাম্প্রতিককালে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব ইউরোপসহ পৃথিবীর অনেক দেশেই পড়তে শুরু করেছে। অনেকে আশঙ্কা করেছিলেন এই যুদ্ধে বাংলাদেশও ক্ষতিগ্রস্ত হবে কিন্তু না, এবারও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৭.২৫ শতাংশ হবে বলে অর্থনীতিবিদরা আশা প্রকাশ করেছেন। বৈশ্বিক এত সঙ্কট মোকাবিলার পরেও যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক সংবাদ বলেই আমি মনে করি।
বাংলাদেশে একদল লোক আছেÑ যারা বিদেশিদের টাকায় গাড়ি-বাড়ি কিনে বিলাসিতা করে আর বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে। বঙ্গবন্ধু তার অনেক ভাষণ-বক্তৃতা ও স্বলিখিত গ্রন্থে এমন কথার ইঙ্গিত দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামের সময় থেকেই একদল বাঙালি বিদেশিদের দালালি করতো, সেই দালাল গোষ্ঠীর সংখ্যা দিনে দিনে না কমে বরং আরো কয়েকগুণ বেড়েছে। এসব সুবিধাভোগী দালালচক্র সুযোগ পেলেই হাসিনা সরকারকে হুল ফোটাবার চেষ্টা করে। এখন তারা বাংলাদেশ নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে, মিথ্যা-বানোয়াট গুজব ছড়িয়ে শেখ হাসিনা সরকারবিরোধী নানা অপকর্ম করছে। এরা যেহেতু বিদেশিদের এজেন্ট তাই বিদেশিদের প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়ন করতে এরা লজ্জা-শরমের মাথা খেয়ে এমন এমন মিথ্যা ও কল্পিত সংবাদ তৈরি করছে যা সহজ-সরল মানুষগুলোকে ধোকা দিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করার অনুঘটক হচ্ছে। পত্র-পত্রিকার পাতায় প্রতিদিন এমন কিছু মানুষের মুখ দেখা যায়, যারা দেশবিরোধী চটকদার কথা বলে আলোচনায় থাকতে চায়। কিন্তু এরা সাংগঠনিকভাবে এতটাই দুর্বল যে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার সামর্থ এদের নেই।
বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক ঘটনাবলিতে অনেকেই সরব হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের সমালোচনায়। একটি বিষয় লক্ষ্য করলে দেখা যাবে শ্রীলঙ্কার ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা করলে আকাশ-পাতাল প্রভেদ চোখে পড়বে, তারপরেও একদল লোক নির্লজ্জের মতো বলতেই থাকবে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার মতো হয়ে যাবে। আসলে এরা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বিপদ দেখে এমন কথা বলছে তা নয়, তারা মনে মনে চাচ্ছে বাংলাদেশ যেন চিরকাল গরিব-অসহায় হয়েই থাকে। এরা ছোট মনের মানুষ। দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে না তাকিয়ে যারা শুধু কোন দেশ দেউলিয়া হলো, কোনো দেশের সরকার ক্ষমতাচ্যুত হলোÑ এসব নেতিবাচক সংবাদ খুঁজে বেড়ায়, তারা প্রকৃতপক্ষেই দেশ ও জাতির শত্রু, গ্রিস-ইটালির মতো সমৃদ্ধিশালী দেশও কিছুদির আগে দেউলিয়া হয়েছিল। আবার তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। শ্রীলঙ্কাও নিশ্চয়ই ঘুরে দাঁড়াবে তবে সেজন্য অপেক্ষা করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। একটি দেশের মধ্যে নানা-রকম সংকট থাকে। থাকে বিদেশি রাষ্ট্রের নানান গোপন তৎপরতা। শ্রীলঙ্কার সরকার অভ্যন্তরীণ অব্যবস্থাপনার সঙ্গে বৈশ্বিক রাজনীতির শিকার হয়েছে। এর ফলে তাদের ভরাডুবি ত্বরান্বিত হয়েছে, কিন্তু শেখ হাসিনা সরকার যতবারই বাংলাদেশের ক্ষমতায় আরোহণ করেছেন, ততবারই বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চমক সৃষ্টি করেছেন। যদি এমন কোনো দৃষ্টান্ত আওয়ামী লীগ ব্যতীত অন্য কোনো দল ক্ষমতায় থেকে সৃষ্টি করতে পারতÑ যে দল ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ফুলে-ফেঁপে ওঠে তাহলেও না হয় একটা কথা থাকতো, কিন্তু এ কথা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই, আওয়ামী লীগ ছাড়া বাংলাদেশের আর কোনো দলই অর্থনীতির বিন্দু পরিমাণ উন্নতি ঘটাতে পারেনি। সুতরাং যেসব ব্যর্থ দল আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে দেশের মধ্যে নানাভাবে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে জনমনে আতঙ্ক ছড়ানোও উন্নয়নমুখী কর্মকা- বাধাগ্রস্ত করছে তাদের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলা দরকার।
আমি দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলাম। আমার সৌভাগ্য হয়েছে, অত্যন্ত কাছে থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনার শাসন পদ্ধতি পর্যবেক্ষণ করার। শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা প্রসঙ্গে সংক্ষেপে এটুকুই বলবÑ যতদিন শেখ হাসিনার হাতে থাকবে দেশ, ততদিন পথ হারাবে না বাংলাদেশ। কতিপয় সুজনের কুজন আর জনসম্পৃক্ততাহীন দলছুট নেতাদের ষড়যন্ত্রে এদেশের মানুষ বিভ্রান্ত হবে না। বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার অঙ্গীকার বার বার পুনর্ব্যক্ত করছেন। এখন আমাদের উচিত হবে শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশবিরোধী বক্তব্য যারা দেয় তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা। সেই সঙ্গে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলা। দুর্নীতিবাজদের কোনো নির্দিষ্ট দল নেই। এরা দেশ ও জাতির শত্রু। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাইলে তার প্রধান কাজ হবে দলের নেতা-কর্মীদের দুর্নীতি মুক্ত করা। দলের মধ্যে নৈতিকভাবে শুদ্ধ ও আদর্শবান নেতাকমীদের যোগ্য স্থান দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। এমনিতেই পৃথিবীর দেশে দেশে এখন সঙ্কট চলছে। বৈশ্বিক এই সঙ্কট মোকাবিলা করতে হলে দেশবাসীর ঐক্য ও উন্নয়নমুখী সরকারের নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থা থাকা দরকার। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের মানুষ দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই একটি সুখী-সমৃদ্ধ জীবনের অধিকারী হবে। আমাদের এখন ধৈর্য ধরে যার যার কাজ করতে হবে এবং প্রত্যেককে প্রত্যেক পদক্ষেপে দেশপ্রেমের পরিচয় দিতে হবে। আজ বাংলাদেশের সার্বিক উন্নতি দেখে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশই বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে তীব্রভাবে আগ্রহী। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যার ভূমিকা ছিল খুবই নিন্দনীয়, তারাও আজ বাংলাদেশের সঙ্গে সামরিক চুক্তি করতে ইচ্ছুক। মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা স্মরণে রেখে, খুব সাবধানে বহির্বিশ্বের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। আবেগের বশে এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না যা ভবিষ্যতে বিপদের কারণ হবে।
দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম করে যে বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধু স্বাধীন করেছিলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকা-ের পর সেই বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করতে শেখ হাসিনাকে অর্ধযুগ প্রতীক্ষা করতে হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। তার প্রত্যাবর্তন মুহূর্তে বাংলার আকাশ-বাতাস অঝোর ধারায় ক্রন্দন করেছিল। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকা-ের পর বাঙালি কান্নার অধিকার থেকেও বঞ্চিত হয়েছিল, শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনে সমস্ত শোক চোখের জলে মুছে ফেলে নতুন আশা ও স্বপ্ন নিয়ে জেগে উঠেছিল বাংলাদেশ। তার আপসহীন সুদৃঢ় নেতৃত্বেই উন্নতির শিখরে পৌঁছে যাচ্ছে বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা এখন নিজেকে বিশ্ব নেতায় পরিণত করেছেন। তার অসামান্য রাজনৈতিক প্রজ্ঞা বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তর ঘটাবে এমনটাই আপামর জনতার প্রত্যাশা।
মোনায়েম সরকার : রাজনীতিবিদ, লেখক, কলামিস্ট, প্রাবন্ধিক, গীতিকার ও মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ।