খবর প্রকাশিত: ০৭ জুন, ২০২৫, ০৩:০৬ পিএম
গাজায় ঈদুল আজহার দিনে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি, খাদ্য বিতরণ কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)।
আল-জাজিরার খবরে জানানো হয়, খান ইউনূসের নাসের হাসপাতালে অন্তত ১৬টি মরদেহ পৌঁছেছে। এছাড়া গাজার উত্তরের আল-শিফা হাসপাতালে ১৬ জন, গাজা শহরের আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে পাঁচজন এবং দেইর আল-বালাহর আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে আরও পাঁচজনের মরদেহ আনা হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) জানিয়েছে, নিরাপত্তার কারণে তাদের সব খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
গত মার্চ মাসে ইসরায়েল গাজায় কঠোর অবরোধ আরোপ করার পর থেকে খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানি প্রবেশ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গত মাসে কিছু ত্রাণ ঢুকতে দেওয়া হলেও তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল বলে জানিয়েছে বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থা।
ফাউন্ডেশনটির এক ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে বিতরণকেন্দ্রগুলোতে যাওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে অনেক ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পরেই এসব কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়।
গত রোববার ভোররাতের আগে খাবারের সন্ধানে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি একত্রিত হলে ইসরায়েলি বাহিনী তাদের সরে যেতে নির্দেশ দেয়। পরে ভোর ৩টার দিকে ফ্ল্যাগ রাউন্ডঅ্যাবাউট এলাকায় জনতা জড়ো হলে ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
‘চারদিক থেকে গুলি ছোড়া হচ্ছিল—নৌযান, ট্যাংক ও ড্রোন থেকে,’ বলেন ভিড়ের মধ্যে থাকা আমর আবু তাইবা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৪ হাজার ৬৭৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং এক লাখ ২৫ হাজার ৫৩০ জন আহত হয়েছেন।